নতুন মজার হাসির কৌতুক | bangla mojar hasir jokes

বাংলা দম ফাটানো হাসির কৌতুক | bangla dom fatano hasir jokes | funny golpo Bengali


1:-  অফিসের বড় কর্তা ও মিন্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
বড় কর্তা : আচ্ছা আপনি আগের চাকরিটা ছেড়ে দিলেন কেন ?
মিন্টু : অসুস্থতার জন্য, স্যার।
বড় কর্তা : তা কী হয়েছিল আপনার?
মিন্টু : আরে আমার তো কিছুই হয়নি।
অফিসের বড় কর্তাই আমার কাজে অসুস্থ হয়ে পড়লেন, মানে তার প্রায় মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল।

   2:-  মারুফের অফিসে প্রথম দিনেই বড় কর্তার সঙ্গে কথা হচ্ছে-
বড় কর্তা : আপনি কম্পিউটারে কী কী কাজ জানেন?
মারুফ : স্যার, প্রায় সব ধরনের কাজই করতে পারি।
বড় কর্তা : আচ্ছা, আপনি এমএস অফিস জানেন?
মারুফ : আজই যেতে হবে! তাহলে ওই অফিসের ঠিকানাটা একবার বলে দিলেই আমি খুঁজে বের করতে পারব, স্যার।

   3:- এক নেতা ভোট চাইতে ভোটারের কাছে গেছেন-
নেতা : চাচা, কথা দেন, ভোটটা আমারেই দিবেন।
ভোটার : কিন্তু ভাতিজা, আমি যে আরেকজনকে ভোট দেব বলে কথা দিয়ে ফেলছি।
নেতা : তাতে কী? কথা দিলেই যে কথা রাখতে হবে, তা তো নয়।
ভোটার : তাইলে ভাতিজা তোমারেও কথা দিলাম।

   4:- এক নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন-
নেতা : আমি যদি নির্বাচিত হই, এই গ্রামে ব্রিজ বানিয়ে দেব।
একজন : স্যার, এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই। ব্রিজ করবেন কীভাবে?
নেতা : ইয়ে মানে… প্রথমে খাল খনন করব। এরপর খালের ওপর ব্রিজ বানাব।

   5:-  শরিফ মিয়া আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
আর জলিলের মার্কা ছাতা। একদিন রাস্তায় কথা হচ্ছিল তাঁদের-
শরিফ : বুঝলা জলিল, ভোটে কিন্তু আমিই পাস করব। কেন জানো?
আমার দলের কর্মীরা যখন রিকশায় ওঠে রিকশাঅলার খোঁজখবর নেয়।
রিকশা থেকে নামার সময় তাকে ১০ টাকা বকশিশ দেয়।
আর বলে, ভাই, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায়ই দিয়েন।
জলিল : না রে শরিফ, ভোটে আমিই জিতব। কারণ, আমার লোকেরা রিকশায় উঠেই রিকশাঅলাকে গালিগালাজ করে।
রিকশা থেকে নামার সময় ১০ টাকা কম দেয়। আর বলে, ওই ব্যাটা, ভোটটা কিন্তু আনারস মার্কায় দিবি।

   6:- প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে শাকিলা।
পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করা হলো। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করল-
শাকিলা : প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ইন্টারনেট, গুগল, উইকিপিডিয়া, মাইক্রোসফট অফিস এবং কপি-পেস্ট কে…।

   7:-  জাদুঘরে বেড়াতে গিয়ে বেখেয়ালে একটা চেয়ার ভেঙে ফেলল রাকিব।
হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল জাদুঘরের কর্মচারী।
কর্মচারী : আরে করেছেন কী? জানেন, এই চেয়ারটা ৪০০ বছরের পুরনো!
রাকিব : যাক, বাঁচালেন। আমি তো ভেবেছিলাম নতুন!

   8:-  বিচারক : আপনার অপরাধ?
অভিযুক্ত ব্যক্তি : আমি আমার পূজার কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম।
বিচারক : কতখানি আগে?
অভিযুক্ত ব্যক্তি : দোকান খোলার আগে।

   9:- কদিন পর পূজা। কাপড় ব্যবসায়ী হরিপদ পড়েছেন বিপাকে।
কথা নেই বার্তা নেই, পূজার আগে তার দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড়িয়ে গেছে।
হরিপদের দোকানটা নিচতলায়। দোতলায় একটা নতুন কাপড়ের দোকান বড় করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, সকল জামার মূল্যে ৩০% ছাড়!
তিনতলায় আরও একটা নতুন দোকান সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে, সকল জামা-কাপড় সর্বনিম্ন দামে।
ভেবেচিন্তে হরিপদও একটা সাইনবোর্ড লিখে দরজার সামনে লাগিয়ে দিলেন। তাতে লেখা, দরজা এই দিকে!

   10:- ১ম জন : এই টমি, টমি।
২য় জন : দাদা আপনি কি কুকুরকে ডাকছেন?
১ম জন : না না, আমার বন্ধুকে ডাকছি।
২য় জন : এমন অদ্ভুত নাম- টমি!
১ম জন : ওর আসল নাম টগর মিত্র। আমরা ওকে সংক্ষেপে টমি বলে ডাকি।
২য় জন : ওহ, বড় বাঁচা বেঁচে গেছি।
১ম জন : কেন বাঁচার কি আছে?
২য় জন : কারণ আপনাদের মত বন্ধু আমার নাই। আমার নাম শান্তনু লাহা!

   11:-  নিশ্চয় জানেন
Dear অর্থ প্রিয়, আবার Deer অর্থ হরিণ
এইবার জোক্সটা পড়েন!!
:
এক মহিলা বাজারে গিয়ে দেখেন এক দোকানে হরিনের মাংস বিক্রি হচ্ছে।
উনি এক কেজি মাংস বাসায় নিয়ে খুব সুন্দর করে রান্না করলেন।
তারপর স্বামী আর দুই ছেলে নিয়ে খেতে বসেছেন।
:
ছেলেরা: খুব মজার মাংসতো, কিসের মাংস, মা?
:
:
মহিলা: তোমাদের জন্য ধাঁধাঁ হলো এটা কিসের মাংস?
:
:
স্বামী: আমাদেরকে একটু ধারনা দাও।






মহিলা: আচ্ছা বাচ্চারা, আমি প্রায়ই তোমার বাবাকে যা বলে ডাকি ঐ নামের সাথে মিল আছে।
:
:
ছোট ছেলে: ভাইয়া, খাইস না, এটা কুত্তার মাংস।

   12:- জাপানী কারখানা! পুরো কারখানাই অটোমেটিক।
কোন মানুষ নেই, সব মেশিন…।
একদিক দিয়ে সাবানের উপাদান দেওয়া হয়, আর আরেক দিক দিয়ে একদম প্যাকেট হয়ে সাবান বের হয়ে আসে।
কিন্তু একবার হলো কি, একটা সাবানের প্যাকেট বের হলো যেটায় কোন সাবান ছিল না।
সেই প্যাকেট যেই না ক্রেতার হাতে গেলো, ক্রেতা অভিযোগ করলেন কোম্পানীতে। ব্যাস, আর যায় কোথায় ?
কোম্পানীর মালিকের মাথায় হাত! জাপানীরা ভাবে, এরকম ভুল হলো কিভাবে??!! এরকম তো আর করা যাবে না।
দেখো দেখো কি করা যায়…
তো, সব কোম্পানীর মালিকরা একজোট হয়ে ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটা মেশিন বসাল যা সাবানের প্যাকেট এক্সরে করে ওজন নিয়ে গন্ধ শুকে আগে থেকে নিশ্চিত হবে প্যাকেটে সবান আছে কিনা, তারপর সেটা রিলিজ দিবে।
একই সমস্যা ঘটল এবার এক বাংলাদেশি কারখানায়! কিন্তু বাংলাদেশি মালিকটি ছিলেন আবার খুব বুদ্ধিমান।
তিনি ভাবলেন, ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ঐ মেশিন বসানো শুধু শুধু।
তিনি করলেন কি, তার কারখানার যেদিক দিয়ে সাবান ভর্তি প্যাকেট বের হয়ে আসে সেখানে একটা ফ্যান লাগিয়ে দিলেন। ব্যাস আর কি…
যে সাবানের প্যাকেটে সাবান থাকে না সেটা ফ্যানের বাতাসে উড়ে যায়…

   13:- বাসে কন্ডাক্টর এক মহিলাকে
জিজ্ঞেস করছে : ম্যাডাম, আপনার সাথের বাচ্চা
গুলোর বয়স কত..??
মহিলা বলছেঃ ছোটটার বয়স ২ বছর, মধ্যেরটা আড়াই বছর আর বড়টা তিন বছর।
কন্ডাক্টরঃ বাচ্চাদের ভাড়া দিতে না চাইলে ওদের বয়স কমিয়ে বলুন কোন আপত্তি নেই, কিন্তু ওদের বয়সের গ্যাপটা অন্তত ৯ মাস রাখুন।
মহিলা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বললেন,
.
.
.
মধ্যেরটা আমার দেওরের ছেলে রে হারামজাদা।

   14:- ২জন লোকের মধ্যে কথা হচ্ছে......
১ম লোকঃ ভাই আপনার নাম কী..?
২য় লোকঃ মধুঢালী।
তারপর ২য় লোক জিজ্ঞাস করলো ভাই আপনার নাম কী..?
১ম লোকঃ বাটিপাতি।
এবার ২য় লোক বললো বাটিপাতি করোর নাম হয় নাকি।
১ম লোক বললো কেন.?
আপনি যখন মধু ঢালবেন আমি যদি বাটি না পাতি তাহলে তো সব মধু মাটিতে পড়ে যাবে তাই না !!!

   15:-  বাবা : মাস্টার সাহেব, আপনার কী মনে হয়, আমার ছেলে বড় হয়ে কী হবে?
শিক্ষক : মনে হয় মহাকাশচারী হবে।
বাবা : কেন? এত কিছু থাকতে ও মহাকাশচারী হতে যাবে কেন?
শিক্ষক : বারবার বুঝিয়ে দেয়ার পরও যখন পড়া জিজ্ঞেস করি, তখন দেখলে মনে হয় ও যেন আকাশ থেকে পড়ল।

   16:-  ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ বজলু গেল শ্বশুরবাড়ি। গিয়ে শ্বশুরের পায়ে সালাম করে বলল-
বজলু : আব্বা, আমি সন্ন্যাস নেব স্থির করেছি।
শ্বশুর : সে কী! সন্ন্যাস নেবে কেন?
বজলু : পরকালের কাজ করবো তাই। যাই হোক আমি সন্ন্যাস গ্রহণের আগে কারো কাছে কোনো ঋণ রাখব না।
সব শোধ করে দিয়ে যাব।
শ্বশুর : আমার কাছে তো তোমার কোনো ঋণ নেই।
বজলু : আছে। দশ বছর আগে আপনি আমাকে কন্যা সম্প্রদান করেছিলেন।
আজ তা সুদসহ ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম।

   17:-  রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক পাগল রাস্তা বন্ধ করে রাখলো। রাস্তায় জ্যাম হয়ে যাচ্ছে।
তবুও পাগল সরছে না।
পরে উত্তেজিত হয়ে এক চালক বলল-
চালক : ওই পাগলা, সরবি? না তোর গায়ের উপর দিয়া গাড়ি চালামু?
পাগল : আরে যা যা! একটু আগে মাথার উপর দিয়া বিমান গেল কিছুই হইলো না, তোর তো একটা গাড়ি!

   18:-  একদল ডাকাত ব্যাংক ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ব্যাংকের সামনে দেখে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।
ডাকাত একজনকে বলল-
ডাকাত : এই তুই আমাদের ডাকাতি করতে দেখেছিস?
জালাল : হ্যাঁ, আমি ডাকাতি করতে দেখেছি।
ডাকাতরা জালালকে গুলি করে মেরে ফেলল। তারপর সিরাজকে বলল-
ডাকাত : এই তুই কিছু দেখেছিস?
বল্টু : না ভাই, আমি কিছু দেখি নাই। তবে আমার বউ দেখেছে।

   19:-  স্যাররা কিছুই জানে না---
গাবলু : আমি আর স্কুলে যাব না বাবা।
বাবা : কেনরে গাবলু, লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
গাবলু : তা নয়, স্কুলের টিচাররা কিছুই জানে না যে। সব প্রশ্নের উত্তরই তো আমাদের মানে ছাত্রদের থেকে জানতে চায়। আমের পতন-----
শিক্ষক : বলতো গাবলু, আম বা যে কোন ফল উপরের দিকে না গিয়ে নিচে পড়ে কেন?
গাবলু : উপরে খাওয়ার লোক নেই তাই।
অংকের টিউটর-------
বাবা: আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
গাবলু : বললেন তোমার জন্য একজন ভালো অংকের টিউটর রাখতে।
বাবা: মানে?
গাবলু : মানে তুমি হোমওয়ার্কের যে অঙ্কগুলো করে দিয়েছিলে সব ভুল ছিল।
চোরকে পালাতে দেওয়া উচিত--------
শিক্ষক : চোর সম্পর্কে একটা ভালো উদাহরণ দিতে পারবে?
গাবলু: চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে অতএব নিজেকে বুদ্ধিমান করে গড়ে তোলার জন্য চোরকে সব সময়ই পালাতে দিতে হবে।

   20:-  এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল। তাদের নাবালক মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা হল-
জজ : তুমি কার সঙ্গে থাকতে চাও, মায়ের সঙ্গে?
মেয়ে : না, মা বড্ড পেটায়!
জজ : তাহলে বাবার সঙ্গে?
মেয়ে : না, বাবাও ভীষণ পেটায়!
জজ : তাহলে কার সঙ্গে থাকতে চাও?
মেয়ে : পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সঙ্গে। ওরা অনেক ভালো মানুষ, চাইলেও পেটাতে পারে না!

   21:- মেয়ে : আম্মু ছোট খালা মনে হয় মানুষ না!
মা : মানুষ না মানে !
মেয়ে : আম্মু আমি নিজ কানে শুনেছি!
মা : কি শুনেছিস?
মেয়ে : আব্বু খালাকে বলেছে, তুমি একটা পরী!

   22:- সাইফুল গেছে সাধুবাবার কাছে-
সাইফুল : বাবা, বয়স তো ৩০ হয়ে গেল, এখনো প্রেম করতে পারলাম না, আমার জীবনে কি কোন মেয়ে আসবে না?
সাধুবাবা হাত দেখল-
সাধুবাবা : মন খারাপ করিস না, ধৈর্য ধর, তোর জীবনে ১৫টা মেয়ে আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
এই কথা শুনে বল্টু তো আনন্দে আটখানা।
সাধুবাবা : এতো আনন্দিত হবার প্রয়োজন নেই, ১ জনই তোর বউ হবে আর বাকিরা তোর মেয়ে।

   23:-  উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, গুগল, ইন্টারনেট ও ইলেকট্রিসিটির মধ্যে কথা হচ্ছে....
উইকিপিডিয়া : আমি সব জানি।
ফেসবুক : আমি সবাইকে চিনি।
গুগল : আমার কাছে সব আছে।
ইন্টারনেট : আমাকে ছাড়া তোরা সব মৃত।
ইলেকট্রিসিটি : ওই মেলা চাপাবাজি করছোস। আমি গেলে কিন্তু...

   24:- মেয়েঃ এই রিকসা যাইবা...
রিকসাওলাঃ কই যাইবেন আফা?
মেয়েঃ বিশ্ববিদ্যালয়।
রিকসাওলাঃ না আফা ঐ দিখে যামু না।
মেয়েঃ কেন যাবা না..?
আচ্ছা ইউনিভার্সিটিতে যাইবা...??
রিকসাওলাঃ হ যামু....
তা বাংলাটা আগে কইবেন তো...