প্রচন্ড হাসির জোকস কথোপকথন । bengali funny jokes

 30+ প্রচন্ড হাসির জোকস | জোকস কথোপকথন ।  bangla funny jokes golpo | bengali funny jokes


30+ প্রচন্ড হাসির জোকস | জোকস কথোপকথন ।  bangla funny jokes golpo | bengali funny jokes


  1) নতুন জামাই শ্বশুর বাড়ি যাবে! যাওয়ার সময় একটি দামি সেন্ট নিয়ে গেল ।
গিয়ে শালার হাতে দিতেই সে হাতের তালুতে করে খেতে লাগল! নতুন জামাই তাই শ্বশুরকে বলল!
শ্বশুর জামাইয়ের কথা শুনে বলল-
শ্বশুর : বাবা তুমি কিছু মনে করো না। ও আস্ত একটা গাধা! এতো দামি জিনিস কেউ এভাবে

   2) দুই মেয়ে বাসের সিটে বসা নিয়ে ঝগড়া করছে-
কনডাক্টর: কী ব্যাপার, ঝগড়া করছেন কেন? আপনাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে বসে যান।
তারপর আর কী? দুজনেই সারা রাস্তা দাঁড়িয়ে গেছেন।

   3) একদিন বাদল একটি পুকুরে বড়শি পেতে বসে আছে। কিছুক্ষণ পর. . .
পাহারাদার : এই ছেলে, এই। তুমি কি মুর্খ, পড়তে পারো না?
বাদল : হ্যাঁ, পারি।
পাহারাদার : এই সাইন বোর্ডে কি লেখা?
বাদল : এই পুকুরে অনুমতি ছাড়া মাছ ধরলে ৫০০ টাকা জরিমানা।
পাহারাদার : তোমার সাহস তো কম না। লেখাটা দেখার পরেও তুমি মাছ ধরছো।
বাদল : মাছ ধরলাম কই? আমি তো আমার কেঁচোগুলারে সাঁতার শেখাচ্ছি!

   4) ইংরেজির এক ছাত্রী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ হিসাববিজ্ঞানের এক ছাত্র মেয়েটাকে বলল. . .
ছাত্র : আই লাভ ইউ।
মেয়ে : হোয়াট ইজ লাভ?
ছাত্র : বিক্রয়মূল্য থেকে ক্রয়মূল্য বাদ দিলে যা থাকে তাকেই লাভ বলে।

   5) একবার বাবুলের কাছে তার বন্ধু সেন্টুর একটি চিঠি এল।
চিঠিতে লেখা, বাবুল, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি।
একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে।
দয়াকরে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি।
ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।
চিঠি পেয়ে বাবুলের মাথা তো একদম গরম। ওই ব্যাটা সেন্টু যে একটা জোচ্চোর তা ভালো করেই জানে।
মরে গেলেও সে কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না। মহা চিন্তায় পড়ল বাবুল।
ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দেই। চিঠিতে লিখে দিল-
ভাই সেন্টু , আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ।
তা হয়তো ভুল করে অন্য কারো কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি।
তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা করো।

   6) প্রতিবেশী : আপনার ছেলে আমার ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেছে। দয়াকরে ওকে বকে দেবেন।
পরদিন তিনি আবার এলেন-
প্রতিবেশী : আপনার ছেলে এবার আমার শোকেসের কাঁচ ঢিল মেরে ভেঙে দিয়েছে।
বাবা : দেখুন, ছোট মানুষ। আচ্ছা, আমি আচ্ছামতো বকে দেব।
পরদিন আবার সেই ভদ্রলোক ছুটে এলেন রেগেমেগে-
প্রতিবেশী : বলি পেয়েছেনটা কী? আপনার ছেলে তো এবার আমার টিভি স্ক্রিনটা ভেঙে ফেলেছে।
বাবা : দেখুন, ছোট মানুষের পাগলামি।
প্রতিবেশী : পাগলামি! কী বলছেন আপনি? তাহলে আপনারটা ভাঙলো না কেন?
বাবা : অতো পাগল এখনো হয়নি যে আমারটা ভাঙবে!

   7) একটা মশা একটি মাছিকে বিয়ে করল। এরপর বাসর রাতে মশা বাইরে বসে আছে।
তখন মশার বন্ধু এসে বলল-
বন্ধু : কি রে তুই বাইরে কেন?
মশা : কী করব? তোর ভাবি তো কয়েল জ্বালিয়ে শুয়ে আছে।

   8) একদিন বিপুল গোসল করতে পুকুরে গেল।
গিয়ে দেখে পুকুরের মালিকের মেয়ে বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে এসেছে। বিপুল মেয়েকে বলল. . .
বিপুল : আপু বড়শি উঠান, গোসল করব।
মেয়ে : ওই, পুকুর কি আপনার বাপের?
বিপুল : না, কিন্তু হতেও তো পারে।
মেয়ে : ওই মিয়া, ফাইজলামি করেন।
বিপুল : বড়শি উঠাবে, না বাবাকে ডাকবো?
মেয়ে : মানে?
বিপুল : মানে কি? আপনার বাবাকে ডাকবো।
মেয়ে : ফাজিল!

   9) ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। এমন সময় তিনজন লোক ট্রেনের দিকে দৌড়ে আসছে দেখে একজন গার্ড টেনে-হিঁচড়ে তাদের মধ্য থেকে দুজনকে তুলতে পেরেছে। ট্রেনের গতি বেড়ে যাওয়ায় বাকিজনকে তুলতে পারেনি।
গার্ড : ব্যাপার কী! এত কষ্ট করে তিনজনকে তুলতে না পারলেও দুজনকে তো তুলেছি, অথচ আপনারা ধন্যবাদটুকু দিচ্ছেন না!
লোক : ধন্যবাদ দেই কী করে! যাকে ফেলে এসেছেন, আসলে উনিই ছিলেন যাত্রী। আর আমরা এসেছিলাম ওনাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে। বলুন তো দাদা, এই গার্ডকে কী করা যায়?

   10) কাজী : তুমি কি তোমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস সিঙ্গেল থেকে ম্যারিড করতে রাজি আছো? বলো এক্সেপ্ট।
ছেলে : এক্সেপ্ট।
মেয়ে : এক্সেপ্ট।
কাজী : অভিনন্দন, তোমাদের প্রোফাইল হ্যাজ বিন আপলোড সাক্সেসফুল্লি।
তোমরা এখন থেকে স্বামী-স্ত্রী। তোমরা তোমাদের বিয়ের ফটো আপলোড করতে পারো।
আর হ্যাঁ, আমাকে ট্যাগ করতে ভুলো না!

   11) আউয়াল একদিন একা একটি রেস্টুরেন্টে বসে ছিল। হঠাৎ একটি মেয়ে তার কাছে আসল।
এসে একটু মিষ্টি করে হাসি দিয়ে বলল-
মেয়ে : এক্সকিউজ মি, আপনি কি একা?
আউয়ালের মনে ঢোল, ড্রাম আর গিটার বাজতে শুরু করল। সে উত্তর দিল-
আবুল : না কেউ নেই।
মেয়েটা আরেকটু মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল-
মেয়ে : তাহলে চেয়ারটা নিয়েই যাই, আপনার তো আর লাগবে না!

   12) অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেজাজ খুবই খারাপ।
তিনি অফিসে ঢুকেই দেখলেন পিয়নটা হাতে কিছু কাগজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কর্মকর্তা : এই, কাজের কাজ তো কিছুই করিস না। তোর হাতে কী?
পিয়ন : স্যার, একটা চিঠি।
কর্মকর্তা : কোন ছাগলের চিঠি?
পিয়ন : স্যার আপনার।
কর্মকর্তা : কোন গাধা লিখেছে?
পিয়ন : স্যার, আপনার বাবা!

   13) বাহুবলিকে চাঁদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো রাজমাতা।
সে অনুযায়ী রাজ দরবার থেকে বিদায় নিয়ে রওয়ানা দিলো সে।
কিন্তু অর্ধেক পথ যাওয়ার পর বাহুবলি রকেট থেকে লাফ দিলো! শুধু তাই নয়, চিৎকার করে বলতে লাগলো-
বাহুবলি : আজ তো অমাবস্যা! চাঁদ ওঠেনি।

   14) অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নারী সেক্রেটারির সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে. . .
সেক্রেটারি : ম্যাডাম, কয়েকদিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
স্ত্রী : আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
সেক্রেটারি : বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।

   15) একদিন আবুল এক রেস্টুরেন্টে গেল-
আবু : এই, গরম কি আছে?
বালক : বিরিয়ানি, খিচুরি, তেহারি।
আবু : আরো গরম কি আছে?
বালক : মোগলাই পরোটা, পুরি।
আবু : আরো গরম কি আছে?
বালক : দুধ, চা, কফি।
আবুল : আরো গরম কি আছে?
বালক : আছে চুলার জ্বলন্ত কয়লা।
আবু : যা এক প্লেট নিয়া আয়।
বালক : কেন? কি করবেন।
আবুল : বিড়ি জ্বালামু।

   16) বিবাহে প্রবল অনিচ্ছুক এক লোককে বলা হলো. . .
প্রতিবেশী : সারাটা জীবন একা একাই কাটাবে? ভেবে দ্যাখো, তুমি যখন মরণশয্যায়, তখন তোমার মুখে পানি দেওয়ার মতো কেউ থাকবে না। কোনো প্রতিযুক্তি দেখাতে না পেরে বিয়ে করেছে লোকটা।
অনেক বছর পরের কথা। দীর্ঘ সংসার জীবন যাপনের পর লোকটি বৃদ্ধ অবস্থায় শুয়ে আছে মৃত্যুর অপেক্ষায়।
তাকে ঘিরে আছে তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যা। শুয়ে শুয়ে সে ভাবছে. . .
বৃদ্ধ : কেন যে বিয়ে করেছিলাম! পানি খেতে ইচ্ছে করছে না তো!

   17) পল্টু : এক বোতল রক্ত দিন তো।
নার্স : রক্তের গ্রুপ বল?
পল্টু : যেকোনো একটা গ্রুপ হলেই চলবে।
নার্স : কী করে চলবে?
পল্টু : গার্লফ্রেন্ডকে রক্ত দিয়ে লাভ লেটার লিখব যে!

   18) দুই পাগল হাসপাতাল থেকে পালানোর পরিকল্পনা করল. . . ১ম পাগল : আমরা সকাল সকাল মেইন গেটে গিয়ে পাহারাদারকে খুব করে মারবো।
তারপর গেট খুলে পালিয়ে যাবো।
২য় পাগল : হ্যাঁ, এটাই ঠিক হবে।
পরেরদিন পাগল দুটো তাদের পরিকল্পনা মতো মেইন গেটে উপস্থিত হলো।
কিন্তু গেটে কোনো পাহারাদার ছিল না, আর গেটও খোলা ছিল।
পাহারাদারকে সেখানে দেখতে না পেয়ে নিরাশ হয়ে. . .
১ম পাগল : ইস... আমাদের প্ল্যানটাই ভেস্তে গেল। পাহারাদারটা কোথায় মরতে গেছে কে জানে! আজ ও থাকলে আমরা পালিয়ে যেতে পারতাম।
২য় পাগল : হুম... মেইন গেটও বন্ধ নেই যে, খুলে পালিয়ে যাবো। আজ ফিরে যাই চল। অন্যদিন আবার ট্রাই করবো।

   19) মেয়ে : কি ফোন ইউজ করেন আপনি?
ছেলে : আইফোন ফাইভ সি।
মেয়ে : ওয়াও। কে দিছে?
ছেলে : এই তো গতমাসে ভাইয়া আমেরিকা থেকে পাঠাল। সামনের মাসে আরেকটা পাঠাবে।
ভাবতেছি ওটা কাউকে গিফট করে দেব।
মেয়ে : উফ! আসলে আপনাকে না আমার খুব ভালো লাগে সরি তোমাকে...
অন্যদিকে. . .
মেয়ে : কি ফোন ইউজ করেন আপনি?
ছেলে : এই তো চায়না ব্রান্ডের কী যেন নাম।
মেয়ে : ও! কে দিল?
ছেলে : এই তো গতমাসে টিউশনির টাকা দিয়ে কিনলাম।
আরো কিছু টাকা থাকলে একটু ভালো ফোন কিনতে পারতাম!
মেয়ে : ও! আচ্ছা বুঝলাম। আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থাকবেন ভাইয়া, পরে কথা হবে।

   20) অফিসার : এ চারাগুলো নিয়ে রোপণ করুন। দেখবেন কিছুদিন পর শিকড় গজাবে।
চাষি : অাচ্ছা ধন্যবাদ।
কিছুদিন পর. . .
চাষি : স্যার, আপনার চারাগুলো ভালো না।
অফিসার : কেন?
চাষি : শিকড় গজাইতেছে না।
অফিসার : আপনি বুঝলেন কীভাবে?
চাষি : কারণ আমি দৈনিক সকাল-সন্ধ্যা চারাগুলো উঠাইয়া দেখি!

   21) দুই বাচ্চা ছেলে কথা বলছে. . .
১ম বাচ্চা : আচ্ছা, তুই অংকে কত পেয়েছিস?
২য় বাচ্চা : আমি আটানব্বই পেয়েছি। তুই কত পেয়েছিস?
১ম বাচ্চা : আমি ময়দানব্বই পেয়েছি!


   22) রোববার দুপুরবেলা ভোলা বারান্দায় বসে বিড়িতে একটু সুখটান দিচ্ছিলো।
এমন সময় এক ভিখারি এসে বললো-
ভিখারি : বাবা, তোমার প্রতিবেশী আমাকে পুরো পেট ভরে খাইয়েছে। তুমিও কিছু দাও বাবা!
ভোলা সঙ্গে সঙ্গে পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটা হজমের ওষুধের প্যাকেট বের করে বললো-
ভোলা : পেট ভরে তো খেয়ে আসছো, এই নাও হজমের ওষুধ। এটা খেলে হজমও হয়ে যাবে!

   23) বল্টু : হ্যালো, ইন্সপেক্টর সাব। ফোন করে আমাকে এক ব্যক্তি বারবার হুমকি দিচ্ছে!
ইন্সপেক্টর : কে হুমকি দিচ্ছে?
বল্টু : টেলিফোন অফিস থেকে হুমকি দিচ্ছে।
ইন্সপেক্টর : কী বলছে?
বল্টু : বলছে ১৫ তারিখের মধ্যে টাকা না দিলে ফোনের লাইন কেটে দেবে!

   24) মারিয়া শারাপোভা এক ভারতীয়কে অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন-
শারাপোভা : আপনারা টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলেন?
ভারতীয় : হ্যাঁ।
শারাপোভা : তাহলে আপনারা টেনিস রেকেট দিয়ে কী করেন?
ভারতীয় : টেনিস রেকেট দিয়ে মশা মারি।

   25) লোক : এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইছো, কীভাবে বুঝবো যে তুমি কানা?
ভিক্ষুক : ওই যে দূরে একটা গরু দেখতাছেন, ওইটা আমি দেখতাছি না।

   26) এক দুষ্টু ছাত্র পরীক্ষার আগের রাতে পয়সা দিয়ে টস করছে। টসের আগেই প্রতিজ্ঞা করে বলে-
ছাত্র : যদি শাপলা আসে তাইলে ঘুমায়া যামু। যদি মানুষ আসে তাইলে টিভি দেখমু।
যদি খাড়ায়া থাকে তাইলে গেমস খেলমু। আর যদি পয়সাটা আকাশে ভাসে তাইলে সারারাত পড়মু!

   27) পথচারী : এই মিয়া, তুমি না আগে রেল স্টেশনে ভিক্ষা করতা। এইখানে আইছো কেন?
২য় ভিক্ষুক : ওই জায়গাডা মেয়ের জামাইরে যৌতুক দিছি।
পথচারী : এই মিথ্যুক! তুমি তো অন্ধ নও। তুমি অন্ধ সেজে ভিক্ষা করছো কেন?
২য় ভিক্ষুক : ঠিকই ধরেছেন স্যার। যে অন্ধ সে আজ ছুটিতে গেছে। তার জায়গায় আমার ডিউটি পড়েছে। আসলে আমি বোবা!

   28) চেকার : মাসিমা, আপনার টিকিট তো লোকাল ট্রেনের, এক্সপ্রেসে উঠেছেন কেন?
বৃদ্ধা : ওসব আমি বুঝি না বাপু, কী বলছিস ভালো করে বল।
চেকার : বলছি আপনার টিকিট তো আস্তে গাড়ির, জোরে গাড়িতে কেন উঠলেন?
বৃদ্ধা : এতে আমার কী দোষ? যা, গিয়ে তোর ড্রাইভারকে আস্তে চালাতে বল।

   29) এক পিঁপড়া খুশি মনে বাড়ি যাচ্ছিল। পথে মৌমাছি জানতে চাইল-
মৌমাছি : কি রে, এতো খুশি কিসের জন্য?
পিঁপড়া : বনে আজকে সব জন্তু মিলে এক হাতিকে পেটাচ্ছিল। খুশিমনে আমিও তাকে দু-একটা ঘুষি মারলাম।
তাই আমি খুশি।
পরদিন পিঁপড়াকে গম্ভীরভাবে বাড়ি যেতে দেখে মৌমাছি এর কারণ জানতে চাইল-
পিঁপড়া : তোমাকে যে কালকে হাতির কথা বলেছি, সে আজকে মারা গেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আমাকে করা হয়েছে।

   30) বাস ড্রাইভার হঠাৎ ব্রেক করলো। দুর্ঘটনা ক্রমে একটি ছেলে একটি মেয়ের উপরে গিয়ে পড়লো।
ছেলেটি সাথে সাথে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মেয়েটিকে কিস করলো। মেয়েটি অপ্রস্তুত হয়ে বলল-
মেয়ে : আরে, আপনি কী করছেন?
ছেলে : আমি এমবিএ করছি, আপনি?

   31) দুই ফকিরের মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম ফকির : কি রে, তোর চোখে এবং গালে ব্যান্ডেজ কেন? কালকে তো দেখলাম এক মহিলার সঙ্গে পার্কে বসা ছিলি।
২য় ফকির : গতকাল তুই যা দেখছিলি, আমার বউও তাই দেখেছে।

   32) পাপ্পু এক মেয়েকে ভালবাসতো। মেয়েটির নাম ছিল পাখি।
পাপ্পু তাই প্রতিদিন পাখির বাসার সামনে গিয়ে তার পাখিকে পাখি পাখি বলে ডাকলে পাখি চলে আসতো।
একসময় পাপ্পু পাখিকে রেখে বিদেশে চলে গেল। তারপর প্রায় ৩-৪ বছর পর সে বিদেশ থেকে ফিরে আসলো।
এসেই পাখির বাসার সামনে গিয়ে পাখিকে ডাকতে লাগল। তখন পাখির মা বলল-
মা : বাবা তুমি এতোদিন পর কোথা থেকে আসলে? তোমার পাখি তো অলরেডি এক ছানার মা হয়ে বসে আছে।

   33) সুলতান বাজার থেকে ক্লান্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে দেখলো রান্না হয়নি।
তাই রেগে গিয়ে বউকে ইচ্ছামতো মার দিলো।
বউ রাগ করে পরের দিন গ্রামে সালিশ ডাক দিলো। মাতুব্বর সুলতানের বউকে জিজ্ঞাসা করলো-
মাতুব্বর : তোমার সংসারে কী সমস্যা?
বউ : আমি আর তার ভাত খামু না।
সুলতান : ঠিক আছে, আমি আমার বউয়ের কথা রাখবো। আজ থেকে ভাতের বদলে তাকে চিড়া, মুড়ি, জাউ রান্না করে খাওয়ানো হবে।।

   34) দুই সিটের লেডিস আসনে বসেছিলো এক সুন্দরী।
শূন্য আসনটিতে বসার জন্যে একই সঙ্গে আগ্রহী হয়ে উঠলো এক বৃদ্ধ আর এক যুবক।
যুবক : আমি আপনার ভাইয়ের মতো, যদি...
বৃদ্ধ : তুমি আমার মেয়ের মতো, যদি...
মেয়েটি বিরক্ত হয়ে পরের স্টেশনে নামতে নামতে বললো. . .
মেয়ে : আপনারা বাপ-বেটা দুজন এখন আরাম করে বসুন। আমি যাই।

   35) গৃহশিক্ষক তার ছাত্রকে পড়াচ্ছেন। এমন সময় এলেন ছাত্রের অশিক্ষিত বাবা. . .
বাবা : মাস্টর সাহেব, একটু দেখি এক বছরে আমার পুত্র কী শিখলো?
গৃহশিক্ষক : বল তো সাজিদ, আই ডোন্ট নো- এর অর্থ কী?
ছাত্র : আমি জানি না।
বাবা : এ কথাটাই বলবে আমি জানতাম। যতই শিখান, সারাজীবনে এ ছেলেটা কিছুই জানবে না।

   36) নিজের বন্ধুর সামনে ছেলেকে ডেকে বাবা বললেন. . .
বাবা : বল তো, আট নং কত?
ছেলে : চুয়াত্তর!
বাবা খুশি হয়ে ছেলের হাতে দশটা টাকা দিয়ে বললেন. . .
বাবা : বেশ, বেশ, কিছু কিনে খাওগে যাও।
পাশে বসা বাবার বন্ধু অবাক হয়ে বললেন. . .
বন্ধু : ও ভুল উত্তর দিলো আর তুমি ওকে খাওয়ার জন্য টাকা দিলে?
বাবা : এর আগে আশি বলেছিল। কিছুটা ইমপ্রুভ করেছে তো তাই।