জমি মাপার পদ্ধতি, জমি মাপার সুত্র, জমি মাপার নিয়ম Jomir Porimap

কি ভাবে জমি মাপতে হয়? জমি মাপার পদ্ধতি ,দুই বিঘা জমি
জমি মাপার সুত্র ,জমি মাপার নিয়ম ,জমি পরিমাপ জোক, খতিয়ান ও দাগের তথ্য ,জমি সংক্রান্ত আইন,ভূমি জরিপ,jomir map,জমির রেকর্ড




কাঠা, বিঘা ও ছটাক মাপ
বিঘা-কাঠার হিসাব

১ বিঘা = (৮০ হাত×৮০ হাত) ৬৪০০ বর্গহাত

১ বিঘা = ২০ কাঠা

১ কাঠা = ১৬ ছটাক

১ ছটাক = ২০ গন্ডা

১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক

১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট

১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট

১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট



ছটাক

১৬ ছটাক = ১/ কাটা

০.০১৬৫ অযুতাংশ = ১/কাঠা

০.৩৩ শতাংশ বা ০.৩৩০০ অযুতাংশ = ১ বিঘা

২০ (বিশ) কাঠা = ১ বিঘা

৩ বিঘা = ১.০০ একর।


================================

টিকাঃ একশত শতাংশ বা এক হাজার সহস্রাংশ বা দশ হাজার অযুতাংশ= ১.০০ (এক) একর। দশমিক বিন্দুর (.) পরে চাষ অঙ্ক হলে অযুতাংশ পড়তে হবে।


মৌজা ভিত্তিক ভূমির নকশা ও ভূমির মালিকানা সম্পর্কিত খতিয়ান বা ভূমি রেকর্ড প্রস্তুত কার্যক্রমকে ভূমি জরিপ বলা হয়। জরিপের মাধ্যমে নতুন মৌজা নকশা ও রেকর্ড তৈরী করা হয় ও পূর্বে প্রস্তুতকৃত নকশা ও রেকর্ড সংশোধন করেও ভূমির শ্রেণীর পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে এবং মালিকানার পরিবর্তনের ধারাবাহিবতার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ কওর হালকরন করা হয়। এ যাবত কাল পর্যন্ত চার বার রেকর্ড কার্যক্রম চালান হয় এ দেশে।রেকর্ড গুলো হল:-1 C S -Cadastral survey2 R S -Revitionel survey3 P S – Pakistan survey4 B S- Bangladesh survey
ক) সি.এস. জরিপ (Cadastral Survey)

বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সম জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়।



খ) এস.এ. জরিপ (State Acquisition Survey)



১৯৫০ সালে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারী অধিপ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয় এরং রায়েতের সাথে সরকারের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে জমিদারদেও প্রদেয় ক্ষতিপুরণ নির্ধারন এবং রায়তের খাজনা নির্ধারনের জন্য এই জরিপ ছিল। জরুরী তাগিদে জমিদারগন হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই জরিপ বা খাতিয়ান প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।



গ) আর.এস. জরিপ ( Revisional Survey)



সি. এস. জরিপ সম্পন্ন হওয়ার সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জমি, মলিক এবং দখলদার ইত্যাদি হালনাগাদ করার নিমিত্তে এ জরিপ সম্পন্ন করা হয়। পূর্বেও ভুল ত্রুপি সংশোধনক্রমে আ. এস জরিপ এতই শুদ্ধ হয় যে এখনো জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে আর, এস জরিপের উপর নির্ভর করা হয়। এর খতিয়ান ও ম্যাপের উপর মানুষ এখনো অবিচল আস্থা পোষন করে।



ঘ) সিটি জরিপ (City Survey)



সিটি জড়িপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জড়িপ। আর.এস. জড়িপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জড়িপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্য করা হয়। এ জাবত কালে সর্ব শেষ ও আধুনিক জড়িপ এটি। এ জড়িপ এর পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়।

==========================


খতিয়ান কি?
খতিয়ান কি?
সি এস খতিয়ান কি?
এস এ খতিয়ান কি?
আর এস খতিয়ান কি?
বি এস খতিয়ান কি?

=খতিয়ানঃ

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে
খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি,
খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে
সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য।

=সি এস খতিয়ানঃ

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

=এস এ খতিয়ানঃ

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র
খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ানঃ

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য
পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি
মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

=বি এস খতিয়ানঃ

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।