গার্লফ্রেন্ড বা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে আপনার কি করা উচিত?

অনেক ভাইবআছে যাদের ভালোবাসার মানুষ বা প্রমিকার বিয়ে হয়ে গেছে আমি সেই সকল ভাইদের উদ্দেশ্য করে বলবো।



যাইহোক, আমি আপনাকে বলবো, মেনে নিন। মানে এই বাস্তবটা মেনে নিন যে আপনার গার্লফ্রেন্ড/প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে বা যাচ্ছে,, তিনি এখন আপনার প্রাক্তন। যতো তাড়াতাড়ি এই বাস্তবটা মেনে নেবেন ততো তাড়াতাড়ি আপনার কষ্ট লাঘব হবে।

তাছাড়া আপনি আরো অনেক কিছুই করতে পারেন। যেমন:আপনি আপনার প্রাক্তনের জন্য শুভকামনা করতে পারেন যাতে তিনি সুখী হতে পারেন। যদি সত্যিই আপনি কখনো তাঁকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে সবসময় তাঁর ভাল চাইবেন এটাই কাম্য।

আরো বলবো, তাঁর সাথে কখনোই ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ না রাখতে। এই জিনিসটি করলে আপনি তাঁর সুখী বৈবাহিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করবেন। আপনি যদি সত্যিই কখনো আপনার প্রাক্তনকে ভালোবেসে থাকেন, তাহলে আপনি তাঁর সাথে এমন কিছুই করবেন না যাতে তাঁর ক্ষতি হয়।

আপনাকে কখনোই বলবো না আপনার ভালোবাসার স্মৃতিকে ভুলে যেতে বরং বলবো এই স্মৃতিকে সম্মান করুন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন আপনার প্রেমিকার সাথে আপনার বিয়ে হয়নি। কারণটি যতো তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ততো তাড়াতাড়ি‌ই আপনি স্বাভাবিক হয়ে যাবেন। নিজের মেধা, যোগ্যতা, পেশার উন্নয়নে নিজেকে আর‌ও উপযুক্ত করে তুলুন। এতে আপনি আর‌ও অনেক পরিণত হবেন।

একজন মানসিক ভাবে পরিণত ব্যক্তি জীবনের যেকোনো জটিলতা বা অপ্রাপ্তিকে খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারেন। তাই আপনাকে বলবো, যতো‌ই আপনি কষ্ট পাবেন ততোই আপনি পরিণত হবেন এবং প্রতিবার কষ্টের পর আপনি অনুধাবন করতে পারবেন যে, আপনার মন প্রকৃতপক্ষে ঠিক কী চায়। তাই বলবো, জীবনের যেকোনো কষ্টকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং একে স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করুন।

তাছাড়া জীবনে একবারই প্রেম আসেনা। তাই হতাশ হবার কিছু নেই। কয়েকটা দিন আপনার প্রাক্তনের জন্য আপনার কষ্ট লাগাটা স্বাভাবিক। তবে আপনাকে এই ব্যাপারে আরো বলবো, সময় জীবনের অনেক কষ্টের তীব্রতাকেই লাঘব করতে সহায়তা করে। তাই নিজেকে সময় দিন।

আর যদি আপনি একান্তই ডিপ্রেশনে বা হতাশায় চলে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিতে বলবো। তাছাড়া আপনি মেডিটেশন‌ও করতে পারেন, এতে আপনি মানসিক ভাবে শান্তি অনুভব করবেন।

আমি বেশ কয়েক মাস আগে কিছুটা এই রকম বিষয়ের উপর তিনটি উত্তর লিখেছিলাম। আপনি চাইলে এই উত্তরগুলো পড়তে পারেন। লিঙ্ক গুলো নিচে দেয়া হলো।

পরিশেষে বলবো, জীবনের যেকোনো জটিলতাকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করুন, এতে আপনার চারপাশে পজিটিভ এনার্জি বিরাজ করবে। একজন ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব নিজেও ভাল থাকেন এবং সবাইকে নিয়ে ভাল থাকেন। তাই সবসময় ইতিবাচক থাকুন।